চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ১২টি বসত-ভিটাসহ তীর সংরক্ষণ কাজের দুটি স্থানে প্রায় ২শ মিটার এলাকায় ধস নেমেছে। অসময়ে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমে যমুনার পশ্চিম পাড়ের খুকনী ইউনিয়নের ব্রাহ্মনগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরে চলেছে নদী ভাঙন।অসময়ে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সি ইন্সটিটিউড, দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, ছয়টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ১৬টি তাঁত কারখানাসহ বহু ঘর-বাড়ি।
রবিবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মনগ্রামে ডাম্পিং করা জিও ব্যাগের দুটি স্থানে প্রায় ২শ মিটার এলাকা ধসে গেছে। বিশেষ করে আড়কান্দি জামে মসজিদের পূর্ব পার্শে নজরুল ও হোসেন আলী বসত ভিটাসহ প্রায় ১২টি বাড়ি চোখের পলকেই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।ব্রাহ্মনগ্রাম তারকা জামে মসজিদের ইমাম নজরুল ইলাম জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পাউবো কর্মকর্তারা স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অসময়ে নদীর ভাঙন দেখে সবাই আতঙ্কিত বর্ষায় কি হবে আল্লাহই জানেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন এনায়েতপুর থানা শাখার সভাপতি মো. শেখ শামীম বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও নদীতে নতুন নতুন চর জেগে ওঠায় পশ্চিম তীরে স্রোত আছড়ে পড়ায় অসময়ে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।এ বিষয়ে খুকনী ইউপি সদস্য সোহরাব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় ভয়াবহ গর্জন ও ভাঙন দেখে এলাকাবাসী আতঙ্কিত।এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, ব্রাহ্মনগ্রাম ও আড়কান্দি চরে ভাঙনের বিষয়টা জেনেছি। স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।