খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে হবে। যত বড় শক্তি হোক না কেন বাংলার মাটিতে হাসিনার বিচার হবে এবং বাংলাদেশের মানুষের হত্যার বিরুদ্ধে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। আওয়ামী লীগ টিকে থাকার জন্য এমন কিছু নাই যা ব্যবহার করে নাই, সব সেক্টরকে লুটপাট করে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিএনপি ১৬টি বছর এই ফ্যাসিবাদি সরকারের আন্দোলন ও লড়াই করে যাচ্ছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসেনি, হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে তাই তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ সরকারকে সময় দিয়েছি, প্রশাসন থেকে শুরু করে সব জায়গায় সংস্কার করে নির্বাচন দেবে সেই নির্বাচনে জনগণ তার ভোট তার পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করুক এটাই বিএনপির মূল দাবি। তখন যদি জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসায় তখন বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। এ সময় তিনি রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় রুপসা স্কুল মিলনায়তনে খুলনা সদর থানার অর্ন্তগত ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করে আবারো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছে। কিন্তু আমাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তারেক রহমানে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। শেখ মুজিব ১৯৭৫ সাল একদলীয় বাকশাল গঠন করেছিল। সেখান থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে ’৯১ সালে স্বৈরাচার সরকার এরশাদের পতন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে আবার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট মোল্লা মাসুম রশিদের সভাপতিত্বে¡ সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন সদর থানা বিএনপির আহবায়ক কে এম হুমায়ন কবীর (ভিপি হুমায়ুন)। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, বদরুল আনাম খান, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, মুজিবর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং শান্তি প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।