সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বুধবার , ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’ | চ্যানেল খুলনা

‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রবিবার (১৩ অক্টোবর) ধানমণ্ডিতে ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বিচারক নিয়োগ হলে এ সপ্তাহেই জুলাই গণহত্যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হবে। শেখ হাসিনাসহ বিদেশে পলাতকদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমে নিয়োগ হলেও বাকি ছিল বিচারক নিয়োগ।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। এমন পরিস্থিতিতেই আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ হবে।

স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ওই বছরের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।

https://channelkhulna.tv/

জাতীয় আরও সংবাদ

১১২ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন

‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের ফলপ্রসূ বৈঠক

এমন দেশ গড়তে চাই, যা নিয়ে গর্ব করা যায় প্রধান উপদেষ্টা

অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় দিলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি

মন্দিরে হামলা করলে দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে কোনো দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা বা প্রতিমা ভাঙচুর করতে এলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো মন্দিরে ভাঙচুর বা হামলা হলে প্রচলিত আইনে দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশ আমাদের সবার। আমরা একটি পরিবারের মতো। আমাদের সবার সাংবিধানিক অধিকার সমান। দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের। তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। কোনো দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা কিংবা প্রতিমা ভাঙচুর করতে এলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। সরকার প্রচলিত আইনে এই দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। আমরা সবাই প্রচণ্ড রকম আত্মকেন্দ্রিক। আমরা অন্যদের অন্তরে স্থান দিতে পারি না। আমাদের অন্তরকে বড় এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। আমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকার দুর্গাপূজাতে মণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুই কোটি বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর চার কোটি বরাদ্দ দিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সমন্বয়ে একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। একটি বাগানে নানা প্রজাতির ফুল থাকলে বাগানটি যেমন দৃষ্টিনন্দন ও বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশও ঠিক মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্মিলনে বৈচিত্র্যময়। আমরা এই সৌন্দর্যকে লালন করতে চাই। আমরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে দৃঢ় করতে চাই। খালিদ হোসেন বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সবার অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, গুলশান বনানী পূজা ফাউন্ডেশনে সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার জোয়ার্দারসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।