১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী বাঙালির কাছে পরাজয় বরণ করে। তারা পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে না পেরে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন ভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়েই বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করা হয়েছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্রকে পুনজ্জীবিত করতে আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু’র হত্যার বিচার করেন। আর আগস্ট মাসকে জাতীয় শোকের মাস স্বীকৃতি দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এবং ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবসে বিশেষ কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। সে মোতাবেক খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ শোকাবহ ১৫ ও ১৭ আগস্টে পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলণ, কালো ব্যাজ ধারণ, বঙ্গবন্ধু’র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান। সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় হতে শোক র্যালি। র্যালি শেষে দলীয় কার্যালয়ে শোক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দিনব্যাপী দলীয় কার্যালয় সহ প্রত্যেক ওয়ার্ডে এবং সহযোগী সংগঠনের কার্যালয়ে কোরআন খতম, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বাদ জোহর প্রত্যেক মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সদর থানা আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সাথে খুলনা জেলা প্রশাসনের নব নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে এবং সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্রে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের শোক র্যালিতে মিছিল সহকারে অংশ গ্রহণ করবে।
১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার সকল ওয়ার্ড মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করবে। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ স্ব স্ব থানায় অনুরূপ কর্মসূচি পালন করবে।