রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক বছরের শিশুকন্যাসহ কারাগারে যাওয়া সেই নিলুফা বেগমের ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এসে এনজিও বীজ কর্তৃপক্ষকে নিলুফা বেগমের ঋণের সব টাকা পরিশোধ করেন।
তবে তার আগেই দৈনিক যুগান্তর-এ গত ২৭ জানুয়ারি ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় মায়ের সঙ্গে শিশু সন্তানও কারাগারে শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নিলুফা ও তার শিশু সন্তানের কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে আসে। তারা নিলুফার ঋণ শোধের উদ্যোগ নিলে আদালত তাকে জামিনে মুক্ত করেন।
জেলার দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহসীন মৃধা জানান, বেসরকারি ঋণদান সংস্থা এনজিও ‘বীজ’ উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সালামের স্ত্রী নিলুফা বেগমের ঋণের সুদসহ বকেয়া এক লাখ টাকা পেতে মামলা করেন।
সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় নিলুফা বেগমরে নামে মামলা করে এনজিও বীজের কর্মকর্তারা। গত শনিবার রাতে নিলুফা বেগমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তার সঙ্গে এক বছরের শিশু কন্যা সোনিয়াকেও নিয়ে যায়।
রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে শিশু সন্তানসহ নিলুফাকে কারাগারে পাঠানো হয়। নিলুফার ঋণগ্রস্ত হওয়া ও শিশু সন্তানসহ কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি গত ২৭ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তর-এ ‘ ঋণ পরিশোধ না হওয়ায় জেলে মায়ের সঙ্গে এক বছরের শিশু’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়।
নিলুফা ও তার শিশু সন্তানকে ঋণ ও কারামুক্ত করতে উদ্যোগী হয় দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদেরও নজরে আসে। তারা নিলুফার ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেন।
এদিকে প্রশাসনের উদ্যোগের ফলে ২৭ জানুয়ারি আদালত নিলুফার জামিন মঞ্জুর করেন। ওইদিনই নিলুফা কারাগার থেকে ছাড়া পান।
অন্যদিকে শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসে এনজিও বীজের শাখা ব্যবস্থাপককে ডেকে নিলুফা বেগমের ঋণের বকেয়া পরিশোধ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ, মেইন্টেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার (ডিডি) জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দুর্গাপুর থানার ওসি হাশমত আলী, বীজ এনজিওর শাখা ব্যবস্থাপক মহিরুল ইসলাম, ঋণগ্রস্ত নিলুফা বেগম ও তার স্বামী আব্দুস সালাম।