প্রশ্ন: সফরে ৪ রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজগুলা কসর করবে, কিন্তু সুন্নত-বিতর নামাজগুলা কি পড়তে হবে নাকি ছেড়ে দিবে?
উত্তর: সফর অবস্থায় সুন্নত নামাজ পড়া-না পড়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরামের (রা.) দুই ধরনের আমলই বর্ণিত হয়েছে। কোনো কোনো বর্ণনায় সুন্নত পড়ার কথা এসেছে। আবার কোনো কোনো বর্ণনায় সুন্নত না পড়ার কথাও এসেছে।
তবে ফজরের সুন্নতের ব্যাপারে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ-অসুস্থ, মুসাফির-মুকিম কোনো অবস্থাতেই তা ছাড়তেন না। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ- ৩৯৫০)
অতএব, ফজরের সুন্নত গুরুত্বের সঙ্গেই আদায় করবে। অন্যান্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হুকুম হল, যাত্রাপথে তাড়াহুড়ো ও ব্যস্ততার সময় সুন্নত পড়বে না।
আর যদি যাত্রাপথে তাড়াহুড়ো ও ব্যস্ততা না থাকে এবং সুন্নত পড়ার অবকাশ থাকে তাহলে সম্ভব হলে পড়ে নিবে। আর গন্তব্যস্থলে নিরাপদে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে সুন্নত পড়ে নেওয়াই উত্তম। এক্ষেত্রে সুন্নত ছাড়বে না।