চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার আজকে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে, অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে। ওই রাতে প্রশাসনের পাহারায় ভোট চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি শীর্ষক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
১৪ দলীয় জোটভুক্ত ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের এক মন্ত্রী বলেছেন, তদন্ত হবে। কিন্তু তদন্ত তো হচ্ছে না। তিনি যদি সত্যিই ক্যাসিনো থেকে টাকা না নিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত কেন হচ্ছে না? তাকে কি খাতির করছে?
সরকারের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন,চোর, দুর্নীতিবাজ তো আপনারাই। জুয়া তো আপনারাই খেলেন। আপনাদের লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। অহেতুক রাজনীতি করবেন না। মানুষ বুঝেছে কারা ভোট চুরি করে, ক্যাসিনো ব্যবসা চালায়। এমন সরকার আমরা আর চাই না। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখন বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। সরকার জনগণের টুঁটি চেপে ধরেছে। কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। এমন সরকার ক্ষমতায় থাকলে কখনও ন্যায্য বিচার পাওয়া সম্ভব না, যোগ করেন তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, বারবার খবর আসছে দুর্নীতিবাজদের ধরতে দুদক মাঠে নেমেছে। কিন্তু কেউ কি দুদককে মাঠে নামতে দেখেছে? তারা কি কাউকে গ্রেফতার করেছে? দুদক মূলত সরকারের সুনাম গাইতে নেমেছে।
নাগরিক ঐক্যের এই নেতা বলেন, অবিলম্বে এ সরকারের উচিত পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দেওয়া। এর আগে খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।