সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, দেশ বাঁচাতে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে, মানবাধিকার রক্ষায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ চলছে। আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সফল করে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নিজেকে এবং দলকে প্রস্তুত রাখতে হবে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে খুলনা মহানগর, জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের প্রধানদের প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন আমাদের চলমান আন্দোলন শুধুমাত্র ৩৬ দলের ইস্যু নয়; এ অন্দোলনন ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সংগ্রামের ইস্যু। দীর্ঘ ১৫ বছর ভোট চুরির প্রকল্প করে আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম। আবারো ভোট চুরির মাধ্যমে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার যে স্বপ্ন দেখছে দেশের জনগণ সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিবে না। সরকার অত্যন্ত ভয় পেয়েছে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই উল্লেখ করে হেলাল বলেন, ভালো চাইলে ২৮ অক্টোবরের আগে সরকার বিদায় নিবে, বিদায় না নিলে গণআন্দোলনে ফলে সৃষ্টি গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন ঘটনো হবে।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড, শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স. ম আ রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, বেগম রেহেনা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান মফিজ, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল, সাহেদ আহমেদ রবি, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, কে এম হুমায়ন কবির (ভিপি হুমায়ুন). হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, মোল্লা সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, সেলিম রেজা লাকি, গোলাম মোস্তফা, যুবদলেন নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, আজাদ আমিন, শ্রমিক দলের উজ্বল কুমার সাহা, শফিকুল ইসলাম শফি, খান ইসমাইল হোসেন, আঞ্চলিক শ্রমিক দলের আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর হোসেন তালুকদার, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, তাঁতী দলের আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের আজিজা খানম এলিজা, এ্যাড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আতাউর রহমান রনু, কৃষকদলের মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আবু সাইদ, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ প্রমূখ।