সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দুর্ধর্ষ তালিকাভুক্ত প্রতারক গ্রুপের প্রধান আসামি হাবিবুল্লাহ হাবিব(৪৩) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তাকে শহরের পলাশপোল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সে কালিগঞ্জ উপজেলার আহমদ আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, গত একযুগেরও বেশী সময় ধরে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাসহ আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম ছিল হাবিবুল্লাহ। তার নামে কালোবাজারি, দাঙ্গা সংঘটন, সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলা, অবৈধ বিস্ফোরক সামগ্রী নিজ আয়ত্তে রাখা, অস্ত্র ব্যবসা, জমি দখল, সরকারি চাকরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ঢাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নারীদের দিয়ে দেহ ব্যবসাসহ মোট ৯ টি মামলা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার করে আসছিল সে। সেই সাথে ছাত্র সমন্বয়কদের সাথে তাল মিলিয়ে চলছিল এই প্রতারক। সাতক্ষীরা এলাকায় পুনরায় প্রতারনা চক্রের জাল বিছিয়ে নতুন করে এলাকায় প্রতারক চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে র্যা বের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আসতে থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক হাবিবুল্লাহ হাবিব সদর থানাধীন পলাশপোল এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে হাবিবুল্লাহ হাবিবকে গ্রেফতার করে কালিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা।
উল্লেখ্য যে, হাবিবুল্লাহ হাবিবের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা সহ বিভিন্ন মামলা, ২০১৫ সালে সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু মামলা, ২০২০ সালে ডিএমপি ঢাকা মোহাম্মদপুর থানায় প্রতারনা মামলা এবং ২০২২ সালে দেবহাটা থানায় প্রতারনাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এছাড়া উক্ত আসামির নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ছদ্ম নামে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতারনা মামলার গ্রেফতারী পরোয়না ভুক্ত ফেরারী আসামি হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে আত্মগোপনে রেখে তার দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে অপরাধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল।