সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেড প্রদান ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার (২৮ মে) দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
কর্মবিরতি চলাকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজ বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বৈষম্যমূলক। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হলে শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। তাই অনতিবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতামুক্ত রাখতে হবে। সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকরা আমাদের দাবির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে আগামী ৪ জুন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, সর্বজনীন পেনশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মহতী উদ্যোগ। যারা পেনশনের আওতাভুক্ত নন তাদের এই সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্ত করাই ছিল মূল লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা যেখানে একটি পেনশন স্কিমের মধ্যে রয়েছে সেখানে নতুন করে একটি পেনশন স্কিম চালু করা হল। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর সুন্দর পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র হিসেবে এই প্রত্যয় স্কিম চালু করা হতে পারে বলে আমরা মনে করছি। তাই অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত না করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রণয়ন এবং সুপার গ্রেড প্রদানের দাবি জানাই।