তানভীরুল ইসলামের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট ছিল ১৯টি। চার উইকেট থাকলেও, ইনিংসে ছিল না পাঁচ উইকেট। চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে পেলেন সেটা। এই দলের বাকিদের তুলনায় ২৪ বছর বয়সী তানভীর তেমন পরিচিত মুখ নন, ৪৭ লিস্ট এ ম্যাচে ৭১ উইকেট আর ১২ টি-টোয়েন্টিতে উইকেট সংখ্যা চারটি।
তবে পরিচিতি-অপরিচিতের হিসাব ছাপিয়ে চট্টগ্রামে সবচেয়ে উজ্জ্বল এই স্পিনার। তার পাঁচ, অধিনায়ক সাইফের দুই আর দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন তিন উইকেটে চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনটি বাংলাদেশের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড উলভস। পঞ্চাশের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে পায় শুরুর ধাক্কা। পুরো দিনেও আর সেটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৯২ বলে ৩৮ রান আসে কুটিস ক্যাম্পারের ব্যাট থেকে। তাকে আউট করেন সাইফ হাসান।
স্কোর ২০ পার হয়েছে কেবল আর একজনের। লুরকান টুকার ৫৯ বলে করেছেন ২০ রান। আয়ারল্যান্ড উলভসের ১১ ব্যাটসম্যান মিলে খেলেছেন ৬৭ ওভার। অলআউট হওয়ার আগে তারা স্কোরকার্ডে জমা করে ১৫১ রান। সফরকারীদের এত অল্পতে গুটিয়ে দেওয়াতে বড় অবদান দুই স্পিনার তানভীর ও সাইফের। একাদশে থাকা দুই পেসারের মধ্যে এবাদত দুই ও খালেদ আহমেদ পেয়েছেন এক উইকেট।
বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংটাও ভালোই কেটেছে বাংলাদেশের। সেটা আরও কাটত, যদি দারুণ খেলতে থাকা তানজিদ হাসান তামিম আউট না হতেন। ৮ চারে ৩৯ বলে ৪১ রান করে টেক্টরের বলে আউট হন তিনি।
তাকে হারানোর পর বাংলাদেশ ইনিংসে আর কোনো বিপদ ঘটেনি। ৭২ বলে ২২ রান করে সাইফ ও ২৭ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড উলভস- ১৫১/১০ (কুটিস ক্যাম্পার ৯২ বলে ৩৮, লুরকান টাকার ৫৯ বলে ২০; তানভীরুল ইসলাম ২৩-৮-৫৫-৫, সাইফ হাসান ৭-২-১৫-২, এবাদত হোসেন ১৪-৪-৩২-২)
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল- ৮১/১ (তানজিদ হাসান তামিম ৩৯ বলে ৪১, সাইফ হাসান ৭২ বলে ২২; হেরি টেক্টর ৮-১-২৪-১)