রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায়ী সাহিনুদ্দিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল এবং জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে বাইট্টা বাবুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন। একই মামলায় নুর মোহাম্মদ হাসান নামে আরেক আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এম এ আউয়াল এবং জহিরুল ইসলাম বাবুকে কারাগারে আটক এবং নুর মোহাম্মদের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আউয়ালের পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি আবদুল বাতেন, সাহিমউদ্দিন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নুর মোহাম্মদের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২১ মে আসামিদের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে পল্লবীতে ৬ বছরের ছেলে মাশরাফির সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন।