কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অষ্টম দফায় দ্বিতীয় দিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলামের অসমাপ্ত জেরা শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে জেরা শুরু হয়।
সোমবার অষ্টম দফার প্রথম দিন তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে জবানবন্দি দিতে আসেন। এদিন তার জেরা অসমাপ্ত ছিল। আজ তার অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
অ্যাডভোকেট ফরিদ আলম জানান, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হচ্ছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার অসমাপ্ত জেরার মধ্য দিয়ে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। মঙ্গলবার তাকে আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ এবং এই মামলায় আসামি পুলিশের তিন সোর্স পক্ষের আইনজীবীরা জেরা করবেন। ইতোপূর্বে এই মামলায় আদালতে ৬৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এএসপি খাইরুল ইসলাম এই মামলার ৬৫ তম সাক্ষী।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।