চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের করোনাভাইরাসের টিকার ২০ লাখ ডোজ আজ শনিবার দেশে আসছে। রাতের ফ্লাইটে এসব টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ২৭ মে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ টিকা কেনার প্রস্তাব সবুজ সংকেত পায়। এর পর ১৪ জুলাই ওই টিকা আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় সরকার। টিকা কেনার চুক্তির আগেই দুই দফায় সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার পাঠিয়েছিল চীন সরকার। পাশাপাশি গত ৩ ও ৪ জুলাই দুই চালানে সিনোফার্মের আরও ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছায়।
এ ছাড়া সম্প্রতি মডার্নার ২৫ লাখ এবং ফাইজারের এক লাখের বেশি টিকা দেশে এসেছে। এসব টিকা এখন দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার জাতিসংঘের কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগুলো হবে মডার্নার টিকা। এ ছাড়া কোভ্যাক্স আরও ২৯ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকাও দেবে এ মাসের মধ্যেই। পাশাপাশি জাপানও ২৯ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা বাংলাদেশকে খুব শিগগিরই দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এসব টিকা পেলে সামনের দিনগুলোতে দেশে করোনার টিকাদান আরও গতি পাবে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি এ টিকার ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম এগিয়ে চলছিল। ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর তারা টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দিলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। বন্ধ হয়ে যায় গণটিকাদান কর্মসূচি।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা দেওয়ার কথা ছিল সেরাম ইনস্টিটিউটের। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর সেরাম আর টিকা দিতে পারেনি। অবশ্য কেনা টিকার বাইরে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
ভারত থেকে টিকা আসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই টিকার বিকল্প উৎসের সন্ধানে নামে বাংলাদেশ। চীন ও রাশিয়ার টিকা পেতে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়। এরই অংশ হিসেবে চীন থেকে টিকা কেনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রাশিয়া থেকেও টিকা কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।