পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে দ্বিতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
আজ শুক্রবার (১৭ জুন) ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে রানওয়ের শোল্ডার পানির নিচে ডুবে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতি পানির নিচে। এজন্য সাময়িকভাবে তিনদিনের জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সিলেটে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে সেনাবাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত।
তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। যেভাবে পানি বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসবে।
সিলেটের জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ এবং ওসমানীনগরসহ সবকটি এলাকায় পানিতে টইটুম্বুর করছে। অনেক জায়গায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার বেশ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।