চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ বৃষ্টির কারণে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে সিলেট ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচে প্রথম দিন এক বলও খেলা হয়নি। দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে খেলা শুরু হলেও হয়েছিল মাত্র ৩১ ওভার। যেখানে ঘটেনি উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা। কিন্তু ম্যাচের পরের দুইদিনে সিলেটকে আক্ষরিক অর্থেই উড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল বিভাগ।
কাগজে-কলমে এই ম্যাচের ব্যাপ্তি তিন দিন হলেও, আসলে দুই দিনের মধ্যেই সিলেট হারিয়ে দিয়েছে বরিশাল। পুরো ম্যাচে খেলা হয়েছে সব মিলিয়ে ১৬৫.৩ ওভার। যেখানে স্বাভাবিকভাবে দুই দিন খেলা হলে মাঠে গড়ায় ১৮০ ওভার। সেখানে দুইদিনেরও কম সময়ে সিলেটকে ইনিংস ও ১৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে বরিশাল।
প্রকৃতির বাধায় ম্যাচের ফলাফল নিয়ে খানিক সংশয় থাকলেও, প্রথম ইনিংসেই সিলেটকে ৮৬ রানে অলআউট করে নিজেদের দিকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বরিশাল। ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে মাত্র ২৪ রানে ৬ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
পরে ব্যাট করতে নেমে সময় থাকলেও, পুরো ১০ উইকেট ব্যাটিং করেনি বরিশাল। বরং ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় তারা। যাতে সিলেটকে আরেকবার অলআউট করতে সময় পাওয়া যায় পর্যাপ্ত। এ ইনিংসে বরিশালের পক্ষে অধিনায়ক ফজলে রাব্বি ৭০ ও শাহরিয়ার নাফীস করেন ৬৩ রান।
১৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সিলেট। এবারেও কোনো সুবিধা করতে পারেনি তারা। শুধুমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি অনিক লড়াই করে যান। কিন্তু তা যথেষ্ঠ প্রমাণিত হয়নি।
জাকের ৪৫ ও ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ৩৫ ছাড়াও দুই অঙ্কে পৌঁছান আরও ৪ ব্যাটসম্যান। রাহাতুল ফেরদৌস ১১, এনামুল হক জুনিয়র ১১, জাকির হাসান ১১ ও অলক কাপালি করেন ১৬ রান। ফলে ইনিংস পরাজয় এড়াতে পারেনি সিলেট। শেষের চার ব্যাটসম্যানই আউট হন শূন্য রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট পাননি কামরুল রাব্বি। তবে তিনিই জেতেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। এ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানভির ইসলাম। এছাড়া মনির হোসেন ৩, নুরুজ্জামান ২ ও তাওহিদুল ইসলাম নেন ১টি উইকেট।
ইনিংস ব্যবধানে জিতে ৯.৫ পয়েন্ট পেয়েছে দ্বিতীয় স্তরের দল বরিশাল। ম্যাচ হারলেও ১টি পয়েন্ট জমা হয়েছে সিলেটের ঝুলিতেও।