চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপ্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত দেশ সুইজারল্যান্ড। এবার তাদের চোখ পড়েছে মাছের রাজা ইলিশের ওপর। কিন্তু যেনতেন ইলিশ হলে তো চলবে না। হতে হবে বাংলাদেশের সুস্বাদু ইলিশ। আর এ কারণে সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘আগরওয়াল এজি’ বাংলাদেশ থেকে রুপালি ইলিশ আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ইলিশের পাশাপাশি দেশের মিঠা পানির রুই-কাতলা মাছ নেওয়ার বিষয়েও সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এই আগ্রহের বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে।
জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. আলমগীর কবির গত ৮ জানুয়ারি পাঠানো এক চিঠিতে জানান, বাংলাদেশ থেকে ইলিশের পাশাপাশি রুই ও কাতলা মাছ আমদানির বিষয়ে সুইস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ঘনশ্যাম আগরওয়াল মিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আগ্রহ প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি মাছের যথাযথ গুণ ও মান বজায় রেখে রপ্তানি করতে পারবে, এমন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কৃষি ও খাদ্যপণ্য প্রায় ৩৫ বছর ধরে সুইজারল্যান্ডে আমদানি করছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ টন পণ্য আমদানি করে তারা। ‘ফাইনেস্ট ফুড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্লোগান সামনে রেখে তারা শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ ও মধ্য-আমেরিকা এবং ডোমেনিয়ান রিপাবলিক থেকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বাছাইকৃত ভোগ্যপণ্য সুইজারল্যান্ডে আমদানি করে।
উল্লেখ্য, বিশ্বে উৎপাদিত ইলিশের ৭৫ ভাগই বাংলাদেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মেলে এবং বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ইলিশ মাছ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে বাংলার ইলিশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইলিশ মাছের চাহিদা থাকায় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি আসে ইলিশ থেকে। ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয় করে ইলিশ রপ্তানি করে।