চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃএকটি ধর্ষণ মামলায় আশরাফুল মোল্লা (৩৭) ওরফে সুমন আর্মি ওরফে সুমন হাসান ওরফে সুমন মোল্লা ওরফে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে যশোরের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর চারটি ভুয়া আইডি কার্ড, তিনটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, সেনাবাহিনীর নেমপ্লেট-সংযুক্ত জ্যাকেট, একটি সুয়েটার, ১৩টি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড এবং দু’টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। যশোরের বাঘারপাড়া থানার একটি মামলায় গ্রেফতার করার পর পুলিশ জানতে পারে তার বিরুদ্ধে এমন কমপক্ষে ২০টি ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে শহরের শংকরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানোনো হয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এডিশনাল এসপি তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত আশরাফুল মোল্লা ওরফে সুমন আর্মি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, তিনি এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি মেয়ের সঙ্গে প্রথমে প্রেমজ সম্পর্ক গড়েন। এরপর তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে সেগুলো ভিডিও করেন এবং সেই ভিডিওকে পুঁজি করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে ব্লাক মেইলের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকেন। তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মেমোরি কার্ডে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও রয়েছে।
এডিশনাল এসপি জানান, যশোরের বাঘারপাড়া থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার (নম্বর-০১/০৩.১০.১৯) আসামিকে ধরতে পুলিশের এসআই অরুণ কুমার দাস, এসআই শামিম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম শংকরপুর এলাকার রওশন আলীর বাড়িতে অভিযান চালান। ওই সময় তারা আশরাফুল মোল্লা ওরফে সুমন আর্মিকে গ্রেফতার করেন।
আশরাফুল পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েদের সঙ্গে প্রথমে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর কৌশলে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও সেগুলোর ভিডিও করে পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। এভাবে তিনি কমপক্ষে ২০ মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এডিশনাল এসপি তৌহিদুল ইসলাম আরো বলেন, গ্রেফতার সুমনের বিরুদ্ধে নড়াইল, রাজশাহী, যশোর কোতোয়ালী থানায় চারটি প্রতারণা ও ধর্ষণ মামলা রয়েছে। সুমন নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামের আকবর মোল্লা ও রাশিদা বেগমের ছেলে।