চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃআম্রঝুটা গ্রামের চাষী সবুজ হোসেনের দাবী, পাঠ চাষে কৃষকের দু’দিকে অর্থ আসে। গত বছর এক আটি পাটকাটি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এ বছর বেশি দামে বিক্রি না হলেও ৩০ টাকার নিচেই আটি বিক্রি হবে না। তারপরও উঠতি মুহুর্তে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮’শ থেকে ২ হাজার টাকা করে। ফলে পাট চাষে লাভবান কৃষক। পাট চাষে কৃষকের অনিহা কেন এমন প্রশ্ন করতেই মোহনপুর গ্রামের চাষী জিকাত হোসেন জানান, গত ২ থেকে ৩ বছর খুব বেশি বৃষ্টিপাত না হওয়াতে পাট পচাতে কৃষকের বেগ পোহাতে হয়েছে। এ কারনে পাট চাষ কমে গেছে বলে ধারনা করা হয়। ভাদ্র মাস নাকের ডগায়। তাই চাষী সোনালী আঁশ পাট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জমি থেকে পাট সরানো এবং ওই জমিতে আমন ধান রোপন করবেন এমন প্রস্তুতি নিয়েই ব্যস্ত কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসার হীরক কুমার সরকার জানান, মণিরামপুরে এবার পাট চাষ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে পাট কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা। পাট লাগানো জমিতে পাট সরিয়ে আবার আমন রোপন করবেন বলে কৃষক এখন ব্যস্ত। পাতন গ্রামের চাষী আবুল হোসেন জানান, জমি থেকে পাট সরিয়ে আবার আমন রোপন করা হবে। একে তো ভাদ্র মাস নাকের ডগায়, তারপরে জমি থেকে আবার পাট সরিয়ে ধান চাষ করা হবে এ কারণে পাট নিয়ে চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর পাটের বাজার মূল্য কমতি নয়। প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১৮’শ থেকে ২ হাজার টাকা। মণিরামপুর বাজারে আড়ৎ ব্যবসায়ী আব্দুল গফুর ও আজিজুর রহমান জানান, সর্বনিন্ম ১৮’শ টাকা প্রতিমণ পাট কিনা হচ্ছে। এরপরও গুণগত মান হিসেবে দাম আরো বেশি দেওয়া হচ্ছে পাটের। পাটের বাজারদর এ অবস্থা থাকলে চাষিদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ আরো বাড়বে।