চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃজাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে সরকারি সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় স্কুল মিল নীতি, ২০১৯’-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই কর্মসূচির আওতায় তিন থেকে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের দৈনিক শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ (ক্যালরি) পূরণ করবে এমন খাবার দিতে হবে এই মিল থেকে। স্কুল মিল চালুর জন্য ‘জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ’ চালু হবে, এর একটি উপদেষ্টা কমিটি থাকবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্কুল মিল বাস্তবায়নের জন্য পরিচালনা কমিটি থাকবে। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানযুক্ত থাকবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। ‘আশ্রয় ফাউন্ডেশন’ ও ‘গণসাক্ষরতা অভিযান’র আয়োজনে ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’ এ সভার সহায়ক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন নেছা। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযান কার্যক্রমের ব্যবস্থাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম সিরাজুদ্দোহা। স্কুল মিল নীতি ২০১৯ পর্যালোচনা, বাস্তবায়ন কৌশল/দিক-নির্দেশনা প্রণয়নে সুপারিশ ও দলীয় উপস্থাপনার পর সমাপনী বক্তৃতা করেন আশ্রয় ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মমতাজ খাতুন।