শাহজাহান সিরাজ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ কয়রা উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীর উপরে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের পারাপার ও হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ২০০ ফুট বাঁশের সাঁকো। মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবুর হস্তক্ষেপে মঠবাড়ী ও কয়রা গ্রামের শাকবাড়ীয়া নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে এ বাঁশের সাঁকো। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এপারে মঠবাড়ী ওপারে কয়রা। দুই ইউনিয়নের মাঝে শাকবাড়ীয়া নদী। দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে এ নদীই বাঁধা। বর্ষা মৌসুমের সবচেয়ে বড় কষ্ট ছিলো শাকবাড়ীয়া খাল। জানা গেছে, বহু বছর আগে ওখানে ডাঃ নিরাঞ্জনের বাড়ীর সামনে একটি লোহার সাঁকো ছিল, যা ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। আর সেই থেকে চরম বিপাকে পড়ে এই দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এ দিকে এ বাঁশের সাঁকো নির্মান না হলে ওই দুই গ্রামের মানুষকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে অথবা নদীতে নৌকায় টাকা দিয়ে খেয়া পার হয়ে চলাচল করতে হয়। অথচ এ দুই ইউনিয়নের সঙযোগস্তল ৫ মিনিটের পথবাঁশের সাঁকো পার হলেই সহজেই স্কুল মাদ্রাসা এমনকি ক্লিনিকে যাতায়াত করা যায়। সূত্র জানায় এ সাঁকো দিয়ে দুই পারে ৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মঠবাড়ী গ্রামে প্রতাপ স্মরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রতাপ স্বরনী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মন্দির আছে। কয়রা গ্রামে কযরা উত্তর চক কামিল মাদ্রাসা , কয়রা আছিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও মসজিদ অবস্থিত যা দুই ইউনিয়নের পারপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং মঠবাড়ী গ্রামের মাছ ব্যবসায়ীদের কয়রা সদরে মাছের কাটায় আসার একমাত্র সহজ পথ। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজি,মন্দির বাজার সহ তিন গ্রামের ৫ শতাধীক পরিবারের লোকসংখ্যা আনুমানিক ১০০০ হাজার মানুষকে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , ব্যাংক লেনদেন, মাছের কাটা, বাজারঘাটসহ প্রতিিিট কাজের জন্য চলাচলের সুবিধার্তে শাকবাড়ীয় নদীর এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়। বাঁধা দুর করতে গ্রামের প্রিতিশ, জহুরুল সহ এলাকার কতিপয় যুবক চেয়ারম্যান, মেম্বর ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজাকে সাথে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবুর নিকট তাদের অসুবিধার কথা জানালে এমপি মহোদয় আর্থিক সহযোগিতা করেন। আর সেই টাকায় নির্মিত হলো এ বাঁশের সাঁকো, দূর্ভোগ কমল এলাকাবাসীর। স্থানীয় আছির উদ্দিন জানান, এ সাঁকো হওয়ায় আমরা মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে নামায পড়তে পারব। সাঁকো তৈরির সময় নদরি পাড়ে ছিলেন, স্কুল, মাদ্রসা পড়–য়া একাধিক ছাত্র ছাত্রী তারা জানায়, আগে আমাদের নদী পেরিয়ে গিয়ে অথবা ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে ক্লাস করতে হত্ োএখন সাঁকো নির্মিত হওয়ায় স্কুল মাদ্রসায় যেতে আর কষ্ট থাকবে না। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি এমপি বাবুর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ সাঁকো নির্মানের ফলে এলাকার মানুষের এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের দূর্ভোগ লাঘব হবে।