এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্রিটিশ ব্যক্তির শরীরে স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টের পর তার দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ন্যাচার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসির।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এইচআইভি চিকিৎসায় ভাইরাসমুক্ত বা সনাক্তকরণের অযোগ্য হওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। এর আগে, ১০ বছর আগে বার্লিনে বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে কোন ওষুধ ছাড়া স্বাভাবিকভাবে এইচআইভি থেকে মুক্তি পান এক ব্যক্তি।
সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়, লন্ডনবাসী ওই রোগী প্রথমে ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে বিগত ১৮ মাস ধরে এইচআইভিতে উপশম করতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তিনি কোন ওষুধ নিচ্ছেন না।
গবেষকরা বলছেন, রোগী এইচআইভি মুক্ত হয়েছেন এমনটা এখনো বলা যাচ্ছে না। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে এইচআইভি আক্রান্ত সুস্থ মানুষদের জন্য বাস্তবসম্মত নয় তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সম্ভবত ভবিষ্যতে এইচআইভির প্রতিকার পাওয়া যাবে।
সাময়িকীতে লন্ডনবাসী ওই পুরুষ রোগীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস ও ২০১২ সালে হজকিন লিম্ফোমা ধরা পড়ে।
কেমোথেরাপির মাধ্যমে তার ক্যান্সার চিকিৎসা করা হয় ও পাশাপাশি এইচআইভি প্রতিরোধী এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া স্টেম সেল তার শরীরে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়। চিকিৎসায় ক্যান্সার ও এইচআইভি উভয় রোগেরই উপশম হয়েছে।
তার চিকিৎসায় ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সংশ্লিষ্ট ছিলেন।