নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার পুনর্বহালে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য স্ট্যান্ডবাই সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশের জোট ইকোওয়াস।
গত মাসের নাইজারের সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় জরুরি বৈঠক করেন ইকোওয়াসের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এ সম্মেলন থেকে স্ট্যান্ডবাই সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার বাসভবনে অবরোধ করে রাখেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের বিদ্রোহী সদস্যরা। আটকের পরের দিন বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন তারা।
এরপরই দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ করতে থাকেন সাধারণ মানুষ। এমনকি সমাবেশ থেকে প্রেসিডেন্টের দলের প্রধান কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে অভ্যুত্থানের সমর্থকরা। ফলে প্রেসিডেন্ট সমর্থক ও অভ্যুত্থানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত থেকে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়। স্ট্যান্ডবাই সেনাদের প্রস্তুত রাখার নির্দেশ ইকোওয়াসের
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে উৎখাতের পর ২৮ জুলাই নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের প্রধান জেনারেল আবদোরাহমানে চিয়ানি। তবে তাদের এ অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি আফ্রিকা অঞ্চলের ১৫ দেশের জোট ইকোয়াস। ৬ আগস্টের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে পুনর্বহালের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল জোটটি। তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর কড়া বার্তাও দেওয়া হয়। সামরিক অভিযানের আশঙ্কা থেকে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের সহায়তা চেয়েছে নাইজারের জান্তা সরকার। ইকোয়াসের এই সময়সীমা শেষ হয়েছে।
গতকালের সম্মেলন থেকে বাজুমকে পুনর্বহালে যারা বাধা দেবে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে জোটটি।
ইকোওয়াস চেয়ারম্যান ও নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু বলেন, কোনো বিকল্পই বাধ দেওয়া হচ্ছে না। সর্বশেষ উপায় হলো সামরিক শক্তি প্রয়োগ। তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল। নাইজারের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার যাত্রায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। আমি আশাবাদী আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নাইজারে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পারব। এখনো সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি।