স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়েছেন স্ত্রী।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর প্রথমে তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত ওই ব্যক্তির নাম পলান সরকার (৩২)। তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
আহত পলান সরকার বলেন, বাঘার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খদেজা বেগমের সঙ্গে গত কয়েক মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। মাঝে-মধ্যেই তিনি তার স্ত্রী খদেজাকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে যেতেন। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ভোরে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর তিনি আবারও ঘুমাতে যান। এ সুযোগে স্ত্রী খদেজা তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বারান্দায় ফেলে পালিয়ে যান তার স্ত্রী খদেজা বলে অভিযোগ করেন পলান সরকার।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৌসুমী রহমান বলেন, সকালে গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আসা কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।