চেকপোস্ট থাকলে চালকরা যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। চেকপোস্ট পার হলেই কিছুটা দূরে গিয়ে আবার তারা যাত্রী তুলছেন। যেন চোর-পুলিশ খেলা চলছে’
চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঈদ উদযাপন শেষে আবারও কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। রাজধানীমুখী এসব মানুষের কারণে ইতোমধ্যেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অন্যান্য দিনের তুলনায় বেড়ে গেছে।
বুধবার (২৭ মে) সকালের দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে যানচলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। তবে রাজধানীমুখী এসব মানুষ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। বিষয়টি করোনাভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উত্তরবঙ্গের ১৭টিসহ মহাসড়কটি দিয়ে ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক গতিতেই মাইক্রোবাস প্রাইভেটকার, সিএনজি এবং ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইক্রোবাসগুলোতে আটজনের জায়গায় ১৬-১৭ জন করে বসছেন, মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থনে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়েছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব মানুষ বেশ ভোগান্তিতে পড়েছে। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জমান বলেন, কর্মস্থল ঢাকা ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। তবে সন্ধ্যার দিকে মহাসড়কের চাপ আরও বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই একটি মাইক্রো ভাড়া করে ১০ জনের যায়গায় ২০ থেকে ২২ জন যাচ্ছেন। অধিকাংশ লোকই স্বাস্থ্য বিধি মানছে না। আর এভাবে চলাচল করলে করোনাভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে। তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচলকারী কিছু লোকজন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, “সরকারি নির্দেশনা অনুয়ায়ী গণপরিবহন চলাচলে মহাসড়কের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া পিকআপ, বা ট্রাকে করে কেউ যাতে না যেতে পারে সে ক্ষেত্রে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। পুলিশ পিকআপ ও ট্রাক থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। অনেক সময় এগুলো আটকে রাখা হচ্ছে, এমনকি জরিমানাও করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ কথা শুনছে না।