চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃপ্রতিবন্ধী মানুষের যাতায়াত সহজ ও দুর্ঘটনা কমাতে অন্তত কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং নির্মিত হলেও কার্যত কোন সুফল পাননি খুলনার মানুষ। অধিকাংশ জায়গায় অপরিকল্পিত ফুটপাথ এবং ড্রেন ¯¬াববিহীন ভাঙাচোরা অবস্থা থাকায় তা ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কেসিসি’র নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। উল্লে¬খ্য, জার্মান সরকারের আর্থিক সহায়তায় এক কোটি টাকার অধিকাংশ অর্থ পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং নির্মাণে ব্যয় হয়।
জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বয়রা কলেজ ইন্টারসেকশন, রাম চন্দ্র দাশ রোড, পঞ্চবীথি ইন্টারসেকশন, হোটেল রয়্যাল মোড় ইন্টারসেকশন, মৌলভীপাড়া রোড, ইউসুফ রোড, পিটিআই মোড়, কলেজিয়েট গার্লস স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে ইঞ্জিনিয়ারিং পয়েন্ট অব ভিউ থেকে আপডেড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে উলে¬খ্যযোগ্য কাজ থাকে ফুটপাথ আপডেড, বাকগুলো সরুকরণ ও পথচারীদের সুবিধাজনক পারাপার ব্যবস্থা ইণ্যাদি। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং-এর কারনে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অনেক স্থানে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া আইল্যান্ডে রোড মার্ক না থাকায় যাতায়াত সহজের বদলে ঝুঁকির তৈরি হয়েছে। এছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পারাপারের উদ্দেশ্যে এগুলো নির্মাণ করা হলেও ফুটপাথ ও ড্রেন অপরিকল্পিত ও স্লাববিহীন ভাঙাচোরা থাকায় সে সুযোগ এখনও তৈরি হয়নি। অন্যদিকে নির্মাণের দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে বেশ কিছু স্থানে আইল্যান্ড দেবে গেছে। ফলে সড়কগুলোতে পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং নির্মিত হওয়ায় কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো জনসাধারনের ভোগান্তি বেড়েছে।
সুজন-এর জেলা সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা বলেন, মূলতঃ শিশুদের চলাচলের জন্য এ পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং নির্মাণ করা হয়। কিন্তু তা না করে কিছু জায়গায় প্রকল্প নিয়ে সড়ক উঁচু করা হয়েছে। এতে শুধুমাত্র অর্থের অপচয় হয়েছে। এছাড়া এগুলো নির্মাণের কারণে বৃষ্টির মৌসুমে পানি আটকে থাকে। মানুষের চলাচলে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে জনসাধারনের জন্য এ প্রকল্প কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি।
কর্পোরেশনের নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ফেজের কাজ সমাপ্ত অনেক আগে। বর্তমানে চলছে দ্বিতীয় ফেজ শুরুর প্রস্তুতি। দ্বিতীয় ফেজে দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (প্রষণে) এমরান আহম্মেদ খান। তার দাবি পেডিস্ট্রিয়ান ক্রসিং নির্মাণে সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। আর কিছু শারীরিক অক্ষম মানুষ এটি ব্যবহার করছে। তবে শতকরা ৫ ভাগ প্রতিবন্ধী মানুষ যাতায়াত করলেও প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনেকটা সফল।