বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা, নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ এগারো মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের ১৫ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৫ মার্চ ধার্য করেন।
১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য এ দিন ধার্য ছিল। এছাড়া বাকী ১০ মামলায় চার্জ শুনানিরও দিন ধার্য ছিল।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।