বিয়ের রেজিস্ট্রেশন ও ডিভোর্সের তথ্য ডিজিটালাইজেশন করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানসহ চারজন।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ভুক্তভোগী রাকিব হাসান ও তিন ব্যক্তি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটে অন্য আবেদনকারীরা হলেন। ভুক্তভোগী সোহাগ হোসেন, কামরুল হাসান ও এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন। এদের পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রিটে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদন উল্লেখ করা হয়, বিয়ে ও বিচ্ছেদ রেজিস্ট্রেশন আইনগত বিধান থাকলেও তা ডিজিটাল না করার কারণে বিয়ে ও ডিভোর্স সংক্রান্ত অসংখ্য প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বিয়ে গোপন রেখে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করার ঘটনা অনেক ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও জটিলতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে সংক্রান্ত অপরাধ বেড়ে অসংখ্য মামলার জন্ম নিচ্ছে। তাই বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল হওয়া একান্ত আবশ্যক। তাই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচিয়ে (বিয়ে-ডিভোর্সের ক্ষেত্রে) সম্মান রক্ষা এবং পারিবারিক জীবন বাঁচাতে বিয়ে ও ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন ডিজিটাল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, তামিমা তাম্মি নামের এক নারীকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় নাসির হোসেন বিয়ে করার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নাসিরের স্ত্রী তামিমা তাম্মির আগে বিয়ে হয়েছিলো ওবং সেই স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই তিনি নাসিরকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তামিমার সেই সংসারে ৮ বছরের একটি মেয়েও আছে। এরই মধ্যে তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জিডিও করেন। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে রাকিব হাসানের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে দাবি করেন নাসিরের স্ত্রী তামিমা। আর, আইনগতভাবে, ইসলামি শরিয়ত মতে সবাইকে জানিয়ে তামিমাকে বিয়ে করার কথা জানান নাসির হোসেন।