চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃভারতের কেরালাতে বিস্ফোরক খাইয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে হত্যার সমালোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে খাইয়ে দেওয়া হয় হাতিটিকে। কয়েকদিন তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করে পেটের সন্তানসহ মারা যায় হাতিটি। অন্তঃসত্ত্বা হাতির এমন করুণ মৃত্যুতে মন কাঁদছে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ পেসার রুবেল হোসেনেরও।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লম্বা এক স্ট্যাটাসে এমন হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করেছেন রুবেল। অভিজ্ঞ পেসার লিখেছেন-
‘বেশি কিছু লেখার ক্ষমতা নেই…. কীই বা বলবো! ১৫ বছরের অন্তঃসত্ত্বা হাতিটিকে কেরালার মানুষেরা যেভাবে হত্যা করেছে, তাতে বলা কী কিছু সাজে? আনারসের মধ্যে বাজি পটকা ভরে নৃশংস হত্যা! আর অবলা হাতিটি নিজের বাচ্চাকে বাঁচাতে পুকুরে গেল, যাতে পেটের বাচ্চাটার ক্ষতি না হয়… যতই হোক, মা তো…. কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি….। কেরালার মানুষেরা কতটা শিক্ষিত-অশিক্ষিত সে প্রশ্ন থাক! প্রশ্নটা উঠুক মানুষের মনুষ্যত্ব নিয়ে।
করোনার ভ্যাকসিন হয়তো তৈরি হবে কোনোদিন, জীবন যুদ্ধে মানুষ আরো একধাপ এগিয়ে যাবে আবার কিন্তু মানবিকতার দিক থেকে আমরা একদম তলানিতে পৌঁছে যাবো না তো? এই ধরনের নিকৃষ্টতম বীভৎসতা কেবলমাত্র মানুষের পক্ষেই দেখানো সম্ভব। এইসব ইতরদের শাস্তির আওতায় আনুন…এরপরেও মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব বলে দাবি করে? আমরা এই পৃথিবী ডিজার্ভ করিনা। যে অন্যায়, যে অবিচার ক্রমশ মানুষ করে যাচ্ছে তার শাস্তি অবশ্যই পাবে। প্রকৃতি কারো ঋণ রাখে না। সৃষ্টিকর্তা সব সুদে আসলে ফিরত দিয়ে দেয় । আজ যে পৃথিবীর এই অবস্থা সেটার জন্যও মানুষই দায়ী। মানুষের বিনাশ অনিবার্য। মানুষ তুই মানহুষ হবি কবে?’
কেরালার হাতি হত্যার প্রতিবাদ করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। কোহলি টুইট করেন, ‘কেরালায় যা হয়েছে তা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেছি। আসুন আমরা আমাদের প্রাণীদের প্রতি সদয় হই এবং এধরনের কাপুরুষিত কর্মকাণ্ডকে রুখে দিই।’
মোহন কৃষ্ণান নামক বন বিভাগের এক কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হয়। জানা যায়, আনারসের মধ্যে বিস্ফোরক ভরে খাইয়ে দেওয়া হলে হাতিটির মুখেই বিস্ফোরকটি ফেটে যায়। যাতে দুই চোয়াল, শুঁড় থেঁতলে যায়, দাঁতও ভেঙে যায়। যন্ত্রণায় কাতর হাতিটি লোকালয় ছেড়ে নাদীতে নেমে পড়ে। তিনদিন থাকার পর পেটের বাচ্চাসহ সেখানেই মারা যায় হাতিটি। বন বিভাগ বহু চেষ্টা করেও হাতিটিকে নদী থেকে তুলতে পারেনি বলেছেন মোহন কৃষ্ণান।