অনলাইন ডেস্কঃনিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারীর নাম কখনো মুখে আনবেন না দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। পার্লামেন্টে মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে এক সাক্ষাতে তিনি বলেন, ‘তিনি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কুখ্যাত। এ জন্য আপনারা কখনোই আমার মুখে তাঁর নাম শুনবেন না।’
গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৫০ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি। এ ঘটনায় ৫০ জনের মতো আহত হন। হামলাকারী অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী তরুণ ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালান। হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিমও করেন তিনি। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনার চার দিন পর আজ মঙ্গলবার ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে মুসলিম কমিউনিটির সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথমেই তিনি আরবিতে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে তাঁর বক্তব্য শুরু করেন।
জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘আমি আপনাদের অনুরোধ করব, যাঁরা চলে গেছেন আমরা বরং তাঁদের নাম নিই ওই খুনির নাম নেওয়ার চেয়ে। তিনি একজন সন্ত্রাসী, একজন অপরাধী, একজন চরমপন্থী। তবে তাঁকে নিয়ে যখন আমি কথা বলব, তিনি নামবিহীন থাকবেন।’ এ সময় তিনি ওই হামলার ভিডিও শেয়ার করা বন্ধ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও কাজ করার আহ্বান জানান। আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী হামলাকারী পূর্ণ শাস্তির মুখোমুখি হবেন।
এদিকে গতকাল সোমবার অস্ত্র আইনে ‘নীতিগত’ পরিবর্তন আনতে সম্মত হয় নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা। ২৫ মার্চের মধ্যেই এই সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।