হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। শুক্রবারে (৭ মে) ভোর রাতে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ওই নারী নিজে থানায় এসে গ্রেফতার নোমান ফয়েজীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলা তদন্তের জন্য একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৫ মে) বিকালে কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে গ্রেফতার করেছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসার পর বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তুলে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকালে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক সংবাদ সম্মেলন করে জানান, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত শারীরিক ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, জাকারিয়া নোমান ফয়েজীকে গ্রেফতারের পর আমরা তার কাছ একটি মোবাইল সেট উদ্ধার করি। সেখানে আমরা তার একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রমাণ পেয়েছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার দুই থেকে তিন জনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে।
এদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে ওই নারীর সঙ্গে জাকারিয়া নোমান ফয়েজীর পরিচয় ঘটে। মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে সে মেয়েটিকে ফুসলাতে থাকে। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয় এবং হাটহাজারীতে আসতে বলে। মেয়েটি ফয়েজীর প্রলোভনে হাটহাজারী আসে এবং তাকে ২০১৯ সালের নভেম্বরে কনক বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় বাসা ভাড়া করে দেয়। মেয়েটি দীর্ঘ এক বছর ফয়েজীর ভাড়া করা ওই বাসায় অবস্থানকালে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে ফয়েজী তাকে ধর্ষণ করে। এরপর হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম শহরে খালার বাসায় চলে আসার পরও বিভিন্ন বাসা ও হোটেলে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।