চট্টগ্রামে তুরস্কের এলপিজি প্রতিষ্ঠান এ্যাইগ্যাজ ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় ‘দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলমকে তিনি এ কথা জানান।
সভায় রাষ্ট্রদূত বলেন, সম্প্রতি ঢাকা এবং আংকারায় দু’দেশের নতুন দূতাবাস নির্মাণের ফলে পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ কারণে তুর্কির রাষ্ট্রপতিও বাংলাদেশে নানা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে তুরস্কের। এছাড়া চেম্বার কর্তৃক আয়োজিত চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পার্টনার কান্ট্রি হিসেবেও থাকতে চায় তুর্কি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
এসময় চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও তুর্কির মধ্যে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার আরও সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দুই বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রাকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের প্রণোদনা কাজে লাগিয়ে তুর্কি ব্যবসায়ীরা মিরসরাইসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে তুর্কি প্রেসিডেন্টকে চট্টগ্রাম ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। উভয় দেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগে একটি ১০ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অনুরোধ করেন মাহবুবুল আলম।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার পরিচালক ও তুরস্কের অনারারী কনস্যুল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ জহুরুল আলম, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, মোঃ আবদুল মান্নান সোহেল, মোঃ এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও তাজমীম মোস্তফা চৌধুরীসহ দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারী গাইজেম আয়দিন এরদেম ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কেনান কালাইছি।