বাগেরহাট প্রতিনিধিঃবাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযানকালে দুদক পাসপোর্ট সেবা প্রদানে নানা অনিয়মের অভিযোগে বাগেরহাট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় মকছুদ আলী আকুঞ্জি (৫৬) নামে একজন দালাকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন আদালতের বিচারক ও বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল হাসান। দণ্ডপ্রাপ্ত মকছুদ আলী আকুঞ্জি বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকার প্রয়াত হাসান আলী আকুঞ্জির ছেলে।
১০৬ হটলাইন নম্বরে ভুক্তভোগীর ফোন পেয়ে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপরে দুদকের খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের একটি টিম এ অভিযান চালায়।
অভিযান চলাকালে পাসপোর্ট অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আনসার সদস্য মো. মিজানুর রহমান ও আল মামুনের বিরুদ্ধে দালালদের সঙ্গে যোগসাজশে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানির সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, হটলাইনে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়ে সোমবার বাগেরহাটের পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পাসপোর্ট ফর্ম জমা গ্রহণে হয়রানী, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মাধ্যমে ফর্ম জমা নেওয়া, দালালদের দৈরাত্বসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় একজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড প্রদানসহ অফিসের তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, অনিয়মের দায়ে পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত অভিযুক্ত ওই তিনজনের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী সাত দিনের মধ্যে দুদককে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দালালমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছবিসহ চার্ট টানানো এবং তিন বছরের অধিক সময় ধরে থাকা ব্যক্তিদের বদলিসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযানে কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুদুকের খুলনা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নীলকমল পাল, সহকারী পরিদর্শক শ্যামল চন্দ্র সেন, উপসহকারী পরিদর্শক আব্দুস সালাম প্রমুখ।