অনলাইন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাঁচ বছর মেয়াদে ১২ দশমিক ৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যার মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২ মিলিয়ন কর্মসংস্থান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ সময় ৯৯ লাখ শ্রমিক কাজে যোগ দেবে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে শ্রমিক পাঠানো হয়েছে আট লাখ ৮০ হাজার। শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ২০৩০ সালের মধ্যে ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে। বুধবার জাতীয় সংসদে নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুজ্জামান সরকারের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে দেশের বেকারত্ব দূর করতে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দেশের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। আমরা গত ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন ইপিজেডে তিন লাখ পাঁচ হাজার ২৪২ জনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৬৫ হাজার ৫৪৬টি পদ সৃজনের সম্মতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৫৯ হাজার ৬০৫টি পদের ছাড়পত্র দিয়েছে।
বিকেন্দ্রীকরণ হবে দেশের শাসনব্যবস্থা
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ সময়ের মধ্যে দেশের শাসনব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। সরকারি ব্যয়ের সিংহভাগ বাস্তবায়ন হবে স্থানীয় পর্যায়ে। স্থানীয় প্রশাসন এ দায়িত্ব পালন করবে। স্থানীয় প্রশাসন ও কেন্দ্রের সুস্পষ্ট সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে, রফতানি ও প্রবাসী আয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় আছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আশা করা যায়, বিদ্যমান পরিবেশে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন সামনের দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে। বাংলাদেশ শিগগিরই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।