কয়েক মাস ধরেই বেসামাল ভোজ্যতেলের দাম। অতিপ্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে অস্থির হচ্ছে স্থানীয় ভোজ্যতেলের বাজার। লিটার প্রতি বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২২ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি। তবে নতুন এই দাম প্রস্তাবে সায় দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাজারে এরই মধ্যে কার্যকর হতে শুরু করেছে বাড়তি দাম।
সয়াবিন এবং পাম তেলের কাঁচামালের মূল উৎস মালয়েশিয়া এবং ব্রাজিল। এই দুই দেশে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম গেল এক মাসে বেড়েছে প্রায় ৮ ভাগ। সবশেষ প্রতি টন তেল ১১শ’ ডলার ধরে দাম নির্ধারণ করা হলেও এখন বেড়ে দাম প্রায় ১৩শ’ ডলার।
সবশেষ খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৩৫ টাকা আর পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৬৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় আবারও তেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতি।
ট্যারিফ কমিশনে পাঠানো চিঠিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৫৭ টাকা যা বর্তমান দামের চেয়ে ২২ টাকা বেশি। আর পাঁচ লিটারে ৮৫ টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে ৭৪৫ টাকা।
কনজ্যুমার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন মালেক বলেন, বাজার পর্যবেক্ষণ করে যৌক্তিক মূল্য বেঁধে দেয়া হলে এবং সেই মূল্যে বাজারে বিক্রি নিশ্চিত করা গেলে ভোক্তারা কিছুটা লাভবান হবেন। একই সাথে বাজারে যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য বাজার তদারকির ব্যবস্থাকে জোরদার করা প্রয়োজন।
তেলের দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছে এনবিআর। কিন্তু সেই সুফল পায়নি ক্রেতা।