গনতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার লুটেরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের পাগলা ঘন্টা বেজে গেছে। গণবিস্ফোরণের মুখে তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না উল্লেখ করে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল রাবী হেলাল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত জটিল। তার লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য তাকে দ্রুত বিদেশে উন্নত মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি সেন্টারে পাঠানো দরকার। গত সপ্তাহে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে তাকে কেবিন থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) এনে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। দেশের বিদ্যমান চিকিৎসাপদ্ধতি খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত নয় জানিয়ে দ্রুত বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া কিডনি, ফুসফুস, হৃদরোগ ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
হেলাল আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে এসে আওয়ামী লীগ আমাদের উপহার দিয়েছে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা আর ভিসানীতি। প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা থাকা অবস্থায় ভিসানীতির কার্যকারিতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের ভোটাধিকার নেই, মানুষের মানবাধিকার নেই, মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এজন্য তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে সরকারি দলের অনেক নেতা, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এই ভিসানীতির আওতায় পড়েছে।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চ সফল করতে খুলনাবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন ওইদিন খুলনার মানুষ হাসিনাকে বিদায়ের শেষ বার্তা দিবে।
দুপুরের পর থেকেই কেডি ঘোষ রোড ও এর আশপাশের এলাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠে। বিকাল সাড়ে ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৪টায় শুরু হয়। নগরী ও জেলার বিভিন্ন ইউনিটিনের ছোট ছোট মিছিল আসতে থাকে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে কেডি ঘোষ রোড। নেতাকর্মীদের হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড দেখা যায়। সমাবেশে কেন্দ্র করে নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা জাহিদ হোসেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পির পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, আমীর এজাজ খান, সৈয়দা নার্গিস আলী, ডা. গাজী আব্দুল হক, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু , স.ম আ. রহমান, সাইফুর রহমান মিন্টু, এস এ রহমান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশাররফ রহমান, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক, শেখ তৈয়বুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম খান নান্নু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক স্বজল, কে এম হুমায়ুন কবীর (ভিপি হুমায়ুন) হাফিজুর রহমান মনি, শেখ জাহিদুল ইসলাম, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, মনিরুজ্জামান মন্টু, আ. রাজ্জাক, শেখ আবদুর রশিদ, ওয়াহিদুর রহমান দিপু, ডা. আবদুল মজিদ, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, অ্যাড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, একরামুল কবীর মিল্টন, নাজির উদ্দিন নান্নু, শেখ জামাল উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আনিছুর রহমান, নাসির খান, জি.এম.রফিকুল ইসলাম, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক হোসেন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, আক্কাস আলী, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, যুবদলে কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ জাবির আলী, জাসাসের নুর ইসলাম বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, আজাদ আমিন, শ্রমিক দলের উজ্বল কুমার সাহা, ছাত্রদলের আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মো. তাজিম বিশ্বাস। তাঁতী দলের আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, মহিলা দলের এ্যাড.তসলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, সেতারা সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, কৃষক দলের আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, বিএনপির আসাদুজ্জামান আসাদ, কে. এম মাহাবুবুল আলম, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, মোঃ শহীদ খান প্রমূখ।