শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় ফের বাড়ছে। তৃতীয়বারের মতো কত দিন বাড়ানো হবে তা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বৈঠকে ঠিক করা হবে।
জানা গেছে, ৪৩তম বিসিএসের আবেদনে সময় বাড়িয়েছে ৩১ মার্চ করা হয়। এরমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর আগামী ২৪ মে সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা হবে এমন ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এর সঙ্গে চলমান বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো হবে। মন্ত্রীর আহ্বানের পর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পিএসসি আবেদনের সময় ফের বাড়াতে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আবেদনের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। এবার শিক্ষামন্ত্রী সময় বাড়ানো কথা বলেছেন। এটা যাচাই বাছাই করতে কমিশনের বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে চূড়ান্ত হবে কতদিন বাড়ানো হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, অমরা চাই প্রতিযোগিতামূলক এ পরীক্ষায় যোগ্য সবাই অংশগ্রহণ করুক।
অন্যান্য বিসিএসের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে তাই এটা পেছানো কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া এগুলো অনেক আগের বিসিএস। ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের আবেদনপত্র নেওয়ার শেষ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে নতুন করে যেহেতু আবেদন নেওয়ার সুযোগ নেই তাই এগুলো পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ কারণে যথাসময়ে পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় অনেকে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করতে পারছিলেন না। এ বিসিএসের আবেদন ও পরীক্ষার সময় বাড়াতে ইউজিসি থেকে লিখিতভাবে আহ্বান জানানো হয়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় পিছিয়ে দিয়ে আগামী ৬ আগস্ট নেওয়ার ঘোষণা দেয় পিএসসি।
এদিকে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান আগামী ২৪ মে থেকে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। ১৭ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলমান বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদনের সময় বাড়াতে হবে বলে ঘোষণা দেন।
পিএসসি থেকে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে তিন লাখ ২০ হাজারের কিছু বেশি আবেদন এসেছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আরো কয়েক লাখ আবেদন আসতে পারে। তৃতীয় দফায় সময় বাড়ানো হলে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে ৪৩তম বিসিএসের প্রথম ধাপে আবেদনের সময় শেষ হলেও আবেদনকারীর সংখ্যা লাখের উপরে উঠেনি।