প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত। এ সময় শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে। বিধিনিষেধ চলাকালে খুলবে না।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শিল্পকারখানা খোলা সংক্রান্ত ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্টের আগে শিল্পকারখানা খোলা যায় কি না সে বিষয়ে শিল্পপতিসহ অনেকেই সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এই অনুরোধ সম্ভবত রাখতে পারছি না।
গত ১৩ জুলাই দুপুরে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, বিধিনিষেধে সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিসও বিধিনিষেধকালে বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাফতরিক কাজ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এই বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রফতানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এটা ১৪ দিন সফলভাবে করতে পারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারব। না হলে এটা (করোনা সংক্রমণ) বাড়তে থাকবে। হাসপাতালে যে চাপ তা ম্যানেজ করতে অসুবিধা হবে। তাই সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এই ১৪ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।